০১. ইসলামে শুধুমাত্র দুটি উৎসব রয়েছে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা এবং এগুলো ব্যতীত যেকোনো বিধর্মীদের উৎসব পালন করাই হারাম বলে গণ্য হবে।
০২. ইসলামে বলা হয়েছে যারা বিধর্মীদের উৎসব, সংস্কৃতি, পোশাককে অনুসরণ করে তারা বিধর্মীদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।
۞ মহানবী মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোনো জাতির অনুকরণ, অনুসরণ ও সামঞ্জস্য বিধান করবে, সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে” [১]
তাই বলা যায় মা/বাবা দিবস পালন করা হারাম।
ইসলামে মা/বাবা কে শুধুমাত্র একদিন নয় প্রত্যেকদিন ভালবাসতে বলা হয়েছে।
۞ আল্লাহ তায়ালা বলেন, “আমি তো মানুষকে তার পিতা-মাতার প্রতি সদাচারণের নির্দেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টের পর কষ্টবরণ করে গর্ভে ধারণ করা এবং তার দুধ ছাড়ানো হয় দুই বছরে। সুতরাং আমার প্রতি ও তোমার পিতা-মাতার প্রতি কৃতজ্ঞ হও। প্রত্যাবর্তন তো আমারই নিকট।” [২]
সারাজীবন মা-বাবাকে জ্বালিয়ে, কষ্ট দিয়ে একদিনে সকল ভালোবাসা প্রকাশ করে ফেলবেন?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মা-বাবা এর ব্যাপারে সুন্দর সুন্দর কবিতা দেওয়া, তাদের সাথে ছবি দেওয়া, স্ট্যাটাস দেওয়া ইত্যাদির মাধ্যমে সবাই ভালোবাসা প্রকাশ করছে। একজনকে দেখে আরেকজনও এগুলো অনুসরণ করছে, রীতিমতো ট্রেন্ড হয়ে গেছে। বাস্তবে গেলে দেখা যাবে তারা পানিটা পর্যন্ত নিজে নিয়ে খান না, মা-বাবাকে কাজে সাহায্য করা তো দূরের কথা। অনেকেই নিজের মায়ের ছবিও এইদিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেন। যার মাধ্যমে তার মায়ের পর্দার লঙ্ঘন হয় এবং তার মা গুনাহর স্বীকার হন। মাকে গুনাহর শিকার করে আপনারা কীরকম ভালোবাসা প্রকাশ করছেন?
নিজেকে প্রশ্ন করুন!
তথ্যসূত্রঃ
[১] ইমাম আহমদ, আল-মুসনাদ: ২/৫০; আবু দাউদ রহ. বর্ণনা করেছে উৎকৃষ্ট সনদে, হাদীস নং-৪০৩১; আর আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, ‘সহীহ আল-জামে‘ আস-সাগীর’, হাদীস নং-৬০২৫।
[২] সূরা লোকমান, আয়াত ১৪
https://islamqa.info/en/articles/61/mothers-day-in-islam
https://en.islamway.net/.../is-it-allowed-to-celebrate...
08 • Dhuʻl-Qiʻdah 4 | 1445 AH
Dairy of The Smiling Moon
সে তোমার চেয়ে ভালো কাউকে পেলে তোমাকে ছেড়েও যেতে পারে।"
07 • 17 Rabiʻ I 1445 AH
Dairy of The Smiling Moon
ফেসবুকে অনেককেই দেখছি যে তারা ইসলামিক মোটিভেশনাল, রিমাইন্ডার, কোরআনের কিছু আয়াত, কিছু হাদিস কিংবা কোন আলেমের ভিডিও শেয়ার করছেন। খুবই ভালো! কিন্তু সেই ব্যক্তিকেই যখন ওই ভিডিওটা দেওয়ার পরে একটা হারাম কনটেন্ট শেয়ার দেয় তখনই মনটা খারাপ হয়ে যায়।
যখন খুশি থাকেন তখন হারামের সাথে যুক্ত থাকবেন এবং খারাপ সময় আসলে শুধু তখনই ইসলামিক পোস্ট করেবেন? একজন কি ইন্টারনেটের বিল দিচ্ছেন আপনার এই পাপের অংশীদার হওয়ার জন্য? আপনাকে বুঝতে হবে যে হারামকে যতদিন আপনি ছাড়তে না পারবেন ততদিন যতই চেষ্টা করুন, যতই আশা রাখুন আপনি শান্তি খুঁজে পাবেন না। দেখেন অবশ্যই আল্লাহ তা'আলা আমাদের হতাশ হতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো কিছু রেখেছেন।কিন্তু তার জন্য তো আপনাকে হারাম ছাড়তে হবে।
আল্লাহ তা'আলা বলেন, ''তোমরা হতাশ হয়ো না এবং দুঃখ কোরো না, যদি তোমরা মুমিন হও, তবে তোমরা জয়ী হবেই।'' (আল কোরআন ৩:১৩৯)
আমরা কেউই ফেরেশতা নই, কিন্তু এই সহজ জিনিসটা আমরা কেন বুঝতে পারি না যে কোনগুলো হালাল আর কোনগুলো হারাম। আপনি এক সেকেন্ড আগে একটি ইসলামিক কনটেন্ট শেয়ার দিয়ে এখন আবার একটি হারাম কনটেন্ট দিচ্ছেন, এই আচরণ কি মুনাফিকদের সাদৃশ্য নয়?
আমি বলছি না যে আপনারা ইসলামিক ভিডিও দিবেন না। অবশ্যই ইসলামিক ভিডিও শেয়ার করবেন এবং তার সাথে এগুলো পালন করারও চেষ্টা করবেন।
নবী মুহাম্মদ (সা.) বলেন, “প্রত্যেক মুসলমানের জন্য জ্ঞান অর্জন করা ফরজ” (ইবনে মাজাহ)
ইসলামে জ্ঞান বা ইলম অর্জন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিডিয়ায় এইরকম আচরণ যে মূর্খতা বা পাপ সেটা বোঝার জন্য অবশ্যই আপনাকে ইলম অর্জন করতে হবে।
যদি ভুল কিছু বলে থাকি আমি ক্ষমাপ্রার্থী এবং যদি ভালো কিছু বলে থাকি সেগুলো যেন আল্লাহ আমাকে ও সবাইকে পালন করার তৌফিক দান করুন।
06 • 16 Safar 1445
Dairy of The Smiling Moon
বর্তমানে দেখছি ভারতের Space Mission এর সফলতার জন্য সবাই SPARRSO এর অনেক সমালোচনা করছেন।
ভারত পারলে আমরা কেন মহাকাশ গবেষণায় এত পিছিয়ে? একজন কৃষিবিদ কিভাবে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান হতে পারেন?
আরো অনেক কত কি সমালোচনা!
যেখানে বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য অথবা যেকোনো ভালো একটি চাকরি পাওয়ার জন্য মুখস্ত বিদ্যার উপযুক্ত প্রয়োগ করি, যেখানে শিক্ষা অর্জনের মূল উদ্দেশ্যই অর্থ উপার্জন এবং যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা নেই ও আমাদেরও গবেষণা করার কোন ইচ্ছা নেই, সেখানে কিভাবে আমরা মহাকাশ গবেষণায় এগিয়ে যাব?
নিজেকে একটু প্রশ্ন করুন!
আগে নিজেদের ঠিক করতে হবে তাছাড়া এই সমালোচনা করা মূর্খতা ছাড়া কিছু না!
05 • 11 Safar 1445
Dairy of The Smiling Moon